শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:১২ অপরাহ্ন
ঠাকুরগাঁও থেকে আসিফ জামানঃ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঠাকুরগাঁওয়ে জাতীয় জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে স্বেচ্ছাসেবক লীগ। শনিবার (১৫ আগস্ট) দুপুর ১ টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা সেচ্ছাসবকলীগের আয়োজনে শহীদ মিনার চত্বর থেকে একটি শোক র্যালি বের হয়। এরপর র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ ডাক বাংলো চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
জেলা পরিষদ ডাক বাংলো চত্বরে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবকলীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক ও শ্রদ্ধা নিবেদন করে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ১ মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ও তার আত্মার মগফিরাত কামনা করে দেশ ও জাতির কল্যাণে দোয়া করা হয়।
এসময় সংক্ষিপ্ত আলোচনায় ঠাকুরগাঁও জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি নজমুল হুদা শাহ্ এ্যাপোলোর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান সুনাম, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মুজাহিদুর রহমান শুভ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াফু তপু প্রমুখ।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা সেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামীম ফেরদৌস, দপ্তর সম্পাদক আফরোজ মাহামুদ বিপু, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক স্বপন কুমাত ঘোষ, উপজেলা কমিটির সহ-দপ্তর সম্পাদক আবু সাবা, দপ্তর সম্পাদক হাসনাত রুম্মন, পৌপৌর সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি পান্না, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর ইসলাম তালাশ, সদর উপজেলা কমিটির সাবেক সহ সভাপতি সোয়াদ কুরাইশী, স্বেচ্ছাসেবক নেত্রী শিউলী আক্তার প্রমুখ।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নজমুল হুদা শাহ এ্যাপোলো বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু স্মরণে দিবসটি গভীর শোক ও শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে বাঙালি জাতির ইতিহাসে কলঙ্ক লেপন করেছিল সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্য। তাদের নির্মম বুলেটে সেদিন ধানমন্ডির ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন রক্তে রঞ্জিত হয়। বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বুক।
সেদিন ঘাতকদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, বঙ্গবন্ধুর সন্তান শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল।
ইতিহাসের এই জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড থেকে বাঁচতে পারেননি বঙ্গবন্ধুর অনুজ শেখ নাসের, ভগ্নিপতি আবদুর রব সেরনিয়াবাত, তার ছেলে আরিফ, মেয়ে বেবি ও সুকান্তবাবু, বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি, তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মনি এবং আবদুল নাঈম খান রিন্টু ও কর্নেল জামিলসহ পরিবারের ১৬ সদস্য ও ঘনিষ্ঠজন।
আমরা জনতার সাথে......“আজকের দিগন্ত ডট কম”
© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত “আজকের দিগন্ত ডট কম”। অনলাইন নিউজ পোর্টালটি বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
Leave a Reply